অনেকদিন পর এলাম। সবাই ভাল আছেন নিশ্চয়ই? আজ আমি আপনাদের সাথে কিছু পরিচিত অপরিচিত সফটওয়্যার এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেব যেগুলো ফ্রি-ওয়্যার হলেও উইন্ডোজ এর ডিফল্ট অ্যাপ্লিকেশনের চেয়ে অনেকগুণ শক্তিশালী। যেখানে আমরা বিভিন্ন হালকা পাতলা সফটওয়্যার (তাও আবার ফ্রি) ব্যবহার করেই দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় কাজগুলো করে ফেলতে পারি সেক্ষেত্রে
আবার ক্র্যাক, কিজেন ইউজ করা লাগে এবং ঐধরণের ব্যয়বহুল (যদিও আমরা টাকা পয়সা দেই না
) এবং পিসি স্লো করে দেয় এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করব কেন? চলুন তাহলে দেখা যাক আজকের টিউনে আপনারা কী কী পাচ্ছেন।



অত্যন্ত জনপ্রিয় এই পিডিএফ রিডারটির কথা অনেকেই জানেন। সাইজে ছোট এবং পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য এটি সবার কাছেই সমাদৃত। এর অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, যেকোন ফাইল যতটুকু পড়ে অ্যাপটি ক্লোজ করে দেবেন পরবর্তীতে ঐ পিডিএফ ফাইল ওপেন করলে আবার একই জায়গা থেকে পড়া শুরু করতে পারবেন।
[দ্রষ্টব্যঃ যেহেতু Adobe, pdf ফরম্যাটের স্রষ্টা তাই এরাই পিডিএফ এর সবকিছু সবার চেয়ে ভাল বোঝেন! এবং কিছু কিছু 3D জাতীয় পিডিএফ ফাইল আছে যেগুলো Adobe Reader ছাড়া ভালভাবে পড়া যায় না এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ওপেনই হয় না। তাই আমার মতে অন্যান্য পিডিএফ রিডার এর সাথে Adobe Reader ও পিসিতে থাকা উচিৎ।]
পিডিএফ নিয়ে ঝামেলা মোটামুটি শেষ, এবার মিডিয়া প্লেয়ারের দিকে দৃষ্টিপাত করি।

মিউজিক শোনার জন্য KMplayer ব্যবহার করা যেতে পারে। স্টাইলিশ এবং বহু স্কিন সাপোর্ট করে, ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলেই স্কিন পাওয়া যায়। এটি আবার ফ্ল্যাশ ফাইলও(.swf) সাপোর্ট করে।
ভিডিওঃ AVI, ASF, WMV, AVS, FLV, MKV, MOV, 3GP, MP4, MPG, MPEG, DAT, OGM, VOB, RM, RMVB, TS, TP, IFO, NSV
অডিওঃ MP3, AAC, WAV, WMA, CDA, FLAC, M4A, MID, MKA, MP2, MPA, MPC, APE, OFR, OGG, RA, WV, TTA, AC3, DTS
ছবিঃ BMP, GIF, JPEG/JPG, PNG
প্লেলিস্ট: ZIP/RAR (Audio archive only), LNK, ASX, WAX, M3U, M3U8, PLS, KPL, LNK, CUE, WVX, WMX
সাবটাইটেল: RT, SMI, SMIL, SUB, IDX, ASS, SSA, PSB, SRT, S2K, USF, SSF, TXT, LRC
অন্যান্য: DVR-MS, DIVX, M4V, M2V, PART, VP6, RAM, RMM, SWF, TRP, FLC, FLI

VLC player ভিডিও দেখার জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার।
ভিডিওঃ Cinepak, Dirac, DV, H.263, H.264/MPEG-4 AVC (8-bit; nightly builds also have 10-bit H.264 support), HuffYUV, Indeo 3, MJPEG, MPEG-1, MPEG-2, MPEG-4 Part 2, RealVideo 3&4, Sorenson (thus enabling direct playback of the modified Sorenson H.263 encoded videos downloaded from YouTube), Theora, VC-1, VP5, VP6, VP8, and some WMV
অডিওঃ AAC, AC3, ALAC, AMR, DTS, DV Audio, XM, FLAC, MACE, Mod, MP3, PLS, QDM2/QDMC, RealAudio, Speex, Screamtracker 3/S3M, TTA, Vorbis, WavPack WMA (WMA 1/2, WMA 3 partially)
সাবটাইটেলঃ DVD, SVCD, DVB, OGM, SubStation Alpha, SubRip, Advanced SubStation Alpha, MPEG-4 Timed Text, Text file, Vobsub, MPL2, Teletext
ডাউনলোড করুন, ২১ MB [একটু বড়
]


ভিডিও তো দেখলেন! কিন্তু এই ভিডিও আপনার প্রিয় মোবাইল কিংবা পোর্টেবল ডিভাইসটিতে নিবেন কীভাবে? অবশ্যই তাকে কনভার্ট করতে হবে? দেখুন তাহলে কোন সফটওয়্যার দিয়ে কনভার্ট করবেন।

খুবই শক্তিশালী কিন্তু এ ফ্রি কনভার্টারটি দিয়ে ভিডিও ফরম্যাটকে যেকোন ফরম্যাটে কনভার্ট করা যায়। এমনকি জিফ অ্যানিমেশন তৈরী করার জন্য প্রতিটি ফ্রেম আলাদা করা যায় এই কনভার্টারটির মাধ্যমে।

কনভার্ট করার জন্য এটাও দারুন একটি সফটওয়্যার, এটাতে অডিও এবং ভিডিও উভয়ই কনভার্ট করা যায়। সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সরল ইন্টারফেসের।
4.আঁকাআঁকিঃ

অনেক কিছুর পরিবর্তন হল কিন্তু পেইন্টের কোন ব্যবস্থা বিল গেটস করতে পারেননি। সেই একই অপশন, একই ইন্টারফেস আর একই ধরণের কাজ করতে পারে। নতুন কিছু করা এর দ্বারা হবে কিনা সন্দেহ আছে।
সব সন্দেহ ফেলে নতুন কিন্তু অনেক কাজই করতে পারে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। তিনটির নাম দিলাম, দেখে নিন কোনটা পছন্দ হয়।

এটাও একটি দারুণ সফটওয়্যার এবং অনেকটা ফটুকশপের মত। এটি দিয়ে সাধারণ জিফ এনিমেশন তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন রকম ইফেক্টও দিতে পারবেন। GIMP এর ফুল ফর্ম ছিল General Image Manipulation Program কিন্তু যখন এটি GNU এর আওতাভুক্ত হয় তখন এর ফুল ফর্ম হয় GNU Image Manipulation Program।
৩৬ মেগাবাইট। এবং পোর্টেবল।
এড়াবো না তো করবটা কী?, অনেক ইমেজ ফরম্যাট ওপেন হয় না আবার উইন্ডোজ সেভেনে জিফ ওপেন হয় ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারে 
এসিডিসি হেল্প নিয়া আসে বেশি বেশি। সিডি বা ডিভিডি রমে ডিস্ক ঢুকালেই নানান রকমের অপশন নিয়ে আসে। খুউব ঝামেলা পূর্ণ।
এখানে যান , I accept বাটনে ক্লিক করুন; ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
রিসাইজ করার টিউটোরিয়াল পাবেন এখানে

গুগল ডক্সের সাধারণ ইন্টারফেস ছাড়াও অনেক রকম সুবিধাও আছে। এটি দিয়ে আপনার ডকুমেন্টটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ফরম্যাট যেমন .doc, .odt , .txt , .pdf ব্যতীত আরও ২-৩ ধরণের ফরম্যাটে ডাউনলোড অথবা সেভ করে রাখতে পারেন।
গুগল ডক ব্যবহার করতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগে। প্রথমে এখানে যান এবং ছবি অনুযায়ী কাজগুলো সম্পন্ন করুন।

ওয়ার্ড প্রসেসিং এর জন্য খুবই চমৎকার একটি সফটওয়্যার। এটি দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর ফাইলও ওপেন করা যায়। সেটা .doc হোক কিংবা .docx । একনজর দেখে নিনঃ

ওপেন অফিসের মতই, এবং অবশ্যই ফ্রি। আসলে লিব্রে অফিস এর মূল ভিত্তিই হল সান এবং ওপেন অফিস।
Notepad এর বিকল্প হিসেবে আছে Notepad ++ , Notepad2
কী আছে নোটপ্যাড ২ এবং ডাবল প্লাসে?


এটা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য একটা ওপেন সোর্স টেক্সট এডিটর। সাইজে ছোট, দ্রুত এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য।

লেখালেখির পালা আপাতত শেষ। আপনার কম্পুটারের হাড্ডিতে নিশ্চয়ই অনেক কিছু জমা পড়ে আছে, আর সেকারণে নতুন কিছু ডাউনলোড করে হাড্ডিতে রাখতে পারছেন না!। অসুবিধা কী? ১৫ টাকায় ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডি কিনে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো রাইট করে ফেলুন। ও, নিরো বুঝি বেশি জ্বালাচ্ছে? আর উইন্ডোজ এর ডিফল্ট রাইটার দিয়ে সুবিধা করতে পারছেন না?! সমস্যা নেই। দেখুন এই ফ্রি সফট ডিভিডি ডাটা ডিস্ক তৈরী করার সকল সমস্যার সমাধান দেবে। বিশ্বাস হচ্ছে না?
, একবার দেখুনই না ট্রাই করে।
। ডিস্ক বার্ন করার সফটওয়্যার; ডিস্ক বার্ন করব, তা না, নিরুতো মাল্টিমিডিয়া প্লেয়ার ইন্সটল করে আরেক যন্ত্রণার সৃষ্টি করে হিরু হতে চায়। হুহ, আর রোক্সিয়র কথা বাদই রাখলাম। উইন্ডোজ ডিফল্ট ডিস্ক বার্নারের কথা বলতে লইজ্জা লাগে 

কীভাবে ডেটা ডিভিডি বার্ন করবেন সেটা একটু দেখিয়ে দিলাম।
]
কিন্তু এখনো বুঝি চিন্তা?! দোকানের মত ডিভিডি ভিডু (ভিডিও) বার্ন করবেন কীভাবে? চিন্তা নাই। আছে DVD flick । এর সাহায্যে আপনি ঘরে (কম্পুটারে) বসেই বানাতে পারবেন বিভিন্ন মুভি দিয়ে দোকানের ঐ ডিভিডি গুলোর মত। যা আপনার ঘরের ডিভিডি প্লেয়ারেও চলবে। কম্পুটারে তো কথাই নাই।


7zip আছে না?! অনেক ধরণের কম্প্রেসড ফাইল আনপ্যাক করতে এর তুলনা নেই। এর কম্প্রেসন উইনরার থেকেও ভাল ।

এটা আপনারাও জানেন যে কোন অপশনটা বেস্ট।

খুবই ফাস্ট এবং চমৎকার ইন্টারফেসযুক্ত এই সফটওয়্যারটি সবার কাছেই সমাদৃত। এটি ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টের কাজে বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগেই নতুন ভার্সন বের হয়েছে। থাকলে ভাল, না থাকলে নিয়ে নিন , প্রায় চার মেগাবাইট।
। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের রেজিস্ট্রি ক্লিন করার জন্য বিশেষভাবে তৈরী করা হয়েছে। [ দ্রষ্টব্যঃ এটা চালাতে গেলে .NET Framework 3.5 এর প্রয়োজন হয়। তাই আগে দেখে নিন আপনার এই ভার্সনের .NET Framework আছে কিনা? ]

থাক আর রাগ করবেন না। ঝটপট নামিয়ে নিন এই ফ্রি ফাইল রিকভার করার সফটওয়্যার Recuva । এটি আসলেই অনেক কাজের জিনিস।

মাত্র, 3.4MB
) এছাড়া সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং ইন্সটল করার ঝামেলা নেই। ডাউনলোড করুন আর ব্যবহার করুন।

সহজে কিভাবে জিফ অ্যানিমেশন তৈরী করবেন, তাও আবার ফ্রি সফটওয়্যার দিয়ে তা জানতে আমাদের প্রিয় উন্মাদ তন্ময় ভাইয়ের এই চমৎকার এবং বিস্তারিত টিউনগুলি দেখতে পারেনঃ
ফ্রি সফটওয়্যার নিয়ে শাওন ভাইয়ের এই অসাধারণ প্রতিবেদন দেখতে ভুলবেন না। এখানে কিছু ফ্রি-ওয়্যার এর লিস্টও পাবেন শেষের দিকে।
নিশাচর নাইম ভাইয়ের এই টিউনেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ওপেনসোর্স সফটওয়্যার পাবেন।
আরও অসংখ্য টিউন হয়ত আছে টেকটিউন্সে তবে এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সবগুলোর লিঙ্ক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রিসেন্টলি যেই টিউন হয়েছে সেগুলোর লিঙ্কই দিলাম।
আবার ক্র্যাক, কিজেন ইউজ করা লাগে এবং ঐধরণের ব্যয়বহুল (যদিও আমরা টাকা পয়সা দেই না
1. PDF ফাইল পড়াঃ
যেই সফটওয়্যারকে এড়িয়ে যেতে চাইঃ Adobe Reader
কি কারণে ব্যবহার করা হত?:
ডকুমেন্ট শেয়ার করার জনপ্রিয় ফাইল ফরম্যাট Pdf ওপেন করতে এবং টুকটাক এডিট করতে।কি কারণে এড়াতে চাই?:
একটু বেশিই গুরুগম্ভীর (স্লো), পিডিএফ ফাইল ভাল সিকিউর করতে পারে না (পাসওয়ার্ড সহজেই রিমুভ করা যায়, এবং পাস রিমুভ করে প্রিন্টও করা যায়), অ্যাপ্লিকেশন স্টার্ট করলেই বিরক্তিকর সাহায্য (Help) নিয়ে আসে।এটার বদলে কী ব্যবহার করা উচিৎ?
এটার বদলে বিভিন্ন জনপ্রিয়, সাইজে ছোট এবং স্পিডি পিডিএফ ফাইল রিডিং সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায়। সেগুলো হলঃi) Sumatra pdf:
খুবই হালকা পিডিএফ রিডার। সাইজ মাত্রঃ 2.3 MB
এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন পোর্টেবল ভার্সনটি
ii) Foxit Reader:
অত্যন্ত জনপ্রিয় এই পিডিএফ রিডারটির কথা অনেকেই জানেন। সাইজে ছোট এবং পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য এটি সবার কাছেই সমাদৃত। এর অনন্য বৈশিষ্ট্য হল, যেকোন ফাইল যতটুকু পড়ে অ্যাপটি ক্লোজ করে দেবেন পরবর্তীতে ঐ পিডিএফ ফাইল ওপেন করলে আবার একই জায়গা থেকে পড়া শুরু করতে পারবেন।
স্ক্রিনশটঃ
সাইজেও ছোট, মাত্র ১০ মেগাবাইট। পোর্টেবল ফক্সিট রিডারের ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম।
ডাউনলোড লিঙ্ক
iii) PDF X-change Viewer:
এটাও পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য কিন্তু এর একটি বৈশিষ্ট্য হল, write mode এ গিয়ে পিডিএফ এর মধ্যেই আপনি ডিরেক্টলি লিখতে পারবেন।[ বাংলা লিখতে পারবেন কিনা জানিনা]স্ক্রিনশটঃ
পোর্টেবল,
আরও অনেক সফটওয়্যার ফ্রিতে পাওয়া যায় তবে সাধারণত পিডিএফ পড়ার কাজে এগুলো ব্যবহার করাই সবচেয়ে উত্তম।ডাউনলোড লিঙ্ক
[দ্রষ্টব্যঃ যেহেতু Adobe, pdf ফরম্যাটের স্রষ্টা তাই এরাই পিডিএফ এর সবকিছু সবার চেয়ে ভাল বোঝেন! এবং কিছু কিছু 3D জাতীয় পিডিএফ ফাইল আছে যেগুলো Adobe Reader ছাড়া ভালভাবে পড়া যায় না এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ওপেনই হয় না। তাই আমার মতে অন্যান্য পিডিএফ রিডার এর সাথে Adobe Reader ও পিসিতে থাকা উচিৎ।]
পিডিএফ নিয়ে ঝামেলা মোটামুটি শেষ, এবার মিডিয়া প্লেয়ারের দিকে দৃষ্টিপাত করি।
2. গান শোনা এবং ভিডু দেখাঃ
যেই সফটওয়্যার এড়াতে চাইঃ Windows media player
কি কারণে ব্যবহার করা হত?:
ভিডু দেখার জন্য কিংবা মিউজিক শোনার জন্য ব্যবহার করা হত।কেন এড়াতে চাইঃ
সেই একই ডিজাইন, একই স্টাইল, সব ভিডু ফরম্যাট সাপোর্ট করে না আরও কত কী...এটার বদলে কী ব্যবহার করা উচিৎ?
A)Audio শোনার জন্যঃ
মিউজিক শোনার জন্য KMplayer ব্যবহার করা যেতে পারে। স্টাইলিশ এবং বহু স্কিন সাপোর্ট করে, ইন্টারনেটে ঘাটাঘাটি করলেই স্কিন পাওয়া যায়। এটি আবার ফ্ল্যাশ ফাইলও(.swf) সাপোর্ট করে।
একনজরে দেখুন এটি কী কী ফরম্যাট সাপোর্ট করেঃ
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করে নিন জলদি; মাত্র ১৫ মেগাবাইট
ডাউনলোড লিঙ্ক
B) Video দেখার জন্যঃ
VLC player ভিডিও দেখার জন্য খুবই জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার।
একনজরে দেখুন কী কী ফরম্যাট সাপোর্ট করেঃ
ডাউনলোড করুন, ২১ MB [একটু বড়
পোর্টেবল ভার্সন ডাউনলোড লিঙ্ক
না, অন্য কিছু না Windows Media Player ই ব্যবহার করবঃ
যারা Windows Media Player রাখতে চান এবং প্রায় সবধরণের [অডিও, ভিডিও ফাইল ফরম্যাট] ফাইল চালাতে চান তারা শুধু নিজেদের উইন্ডোজ অনুযায়ী কোডেক ইন্সটল করুন। ইন্সটল করা খুবই সহজ! টেকটিউন্সবাসীদের নিশ্চয়ই এর জন্য স্ক্রিনশট লাগবে না!Windows XP এর জন্যঃ
উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহারকারীরা WMP এর জন্য কোডেক ডাউনলোড করুন এখান থেকেঃ http://www.xpcodecpack.com/download , মাত্র আট মেগাবাইট। এফএলভি সহ প্রয়োজনীয় ফাইল ফরম্যাট সাপোর্ট করবে।
Windows 7 এর জন্যঃ
উইন্ডোজ 7 ব্যবহারকারীরা WMP এর জন্য কোডেক ডাউনলোড করুন এখান থেকেঃ http://www.windows7codecs.com/ , এখানে গেলেই ডাউনলোড করার জন্য বামপাশে লিঙ্ক পাবেন।যদি কেউ ভিস্তা ব্যবহার করেন তাহলে গুগল মামাকে এট্টু খুচা দেন, তিনি নিশ্চয়ই হাজির করবে আপনার প্রয়োজনীয় কোডেকটি।
3.কনভার্সন বা অডিও এবং ভিডিও ফাইল কনভার্টঃ
ভিডিও তো দেখলেন! কিন্তু এই ভিডিও আপনার প্রিয় মোবাইল কিংবা পোর্টেবল ডিভাইসটিতে নিবেন কীভাবে? অবশ্যই তাকে কনভার্ট করতে হবে? দেখুন তাহলে কোন সফটওয়্যার দিয়ে কনভার্ট করবেন।
i) iWisoft Video Converter:
খুবই শক্তিশালী কিন্তু এ ফ্রি কনভার্টারটি দিয়ে ভিডিও ফরম্যাটকে যেকোন ফরম্যাটে কনভার্ট করা যায়। এমনকি জিফ অ্যানিমেশন তৈরী করার জন্য প্রতিটি ফ্রেম আলাদা করা যায় এই কনভার্টারটির মাধ্যমে।
টিউটোরিয়ালঃ
এই সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ঘুমন্ত জাহাঙ্গীর ভাইয়ের ঘুমন্ত মেগাটিউনে
স্ক্রিনশটঃ
এটা ডাউনলোড করতে কষ্ট হবে না, কেননা মাত্র 8.7MB
ডাউনলোড করুন এখান থেকে
ii) Format Factory:
কনভার্ট করার জন্য এটাও দারুন একটি সফটওয়্যার, এটাতে অডিও এবং ভিডিও উভয়ই কনভার্ট করা যায়। সহজে ব্যবহারযোগ্য এবং সরল ইন্টারফেসের।
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করে নিন, সাইজে একটু বড় 40MB
ডাউনলোড লিঙ্ক
পড়ার ব্যবস্থাও হল, এন্টারটেইনমেন্টের ব্যবস্থাও হল, এবার আঁকাআঁকির মাধ্যমে আপনার সুপ্ত প্রতিভাকে জাগ্রত করুন।4.আঁকাআঁকিঃ
যেই সফটওয়্যার এড়াতে চাইঃ Paint
কি কারণে ব্যবহার করা হত?:
ছোট খাট ছবি কাস্টোমাইজ এবং স্ক্রিনশট তুলে সেভ করার কাজে।কি কারণে এড়াতে চাই?:
আমরা কি এখনো ১৯৯৫ সালে আছি?!?!?এটার বদলে ব্যবহার করবটা কী?:
সেই উইন্ডোজ ৯৮ থেকে দেখে আসছি, মিলিনিয়ামেও দেখেছি, এক্সপি তে দেখছিলাম, কয়েকদিন আগে উইন্ডোজ 7 এ দেখলাম!অনেক কিছুর পরিবর্তন হল কিন্তু পেইন্টের কোন ব্যবস্থা বিল গেটস করতে পারেননি। সেই একই অপশন, একই ইন্টারফেস আর একই ধরণের কাজ করতে পারে। নতুন কিছু করা এর দ্বারা হবে কিনা সন্দেহ আছে।
সব সন্দেহ ফেলে নতুন কিন্তু অনেক কাজই করতে পারে এমন সফটওয়্যার ব্যবহার করুন। তিনটির নাম দিলাম, দেখে নিন কোনটা পছন্দ হয়।
i)Paint.NET:
ছোট সাইজের এবং উইন্ডোজ এর ডিফল্ট পেইন্টের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী, সহজে ওপেন হয় এবং অনে-এ-ক অপশন রয়েছে। ইউজ করা কোন ব্যপারই না, কারণ আমি অতি সহজেই ব্যবহার করতে পারছি। যাদের নেট কানেকশন লিমিটেড, এটাই হবে তাঁদের প্রথম পছন্দ। এটা দিয়ে ছবিও রিসাইজ করা যায় চমৎকার।স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করে নিন। সাইজে ছোট, মাত্র 3.5MB
ডাউনলোড লিঙ্ক
ii) Gimp:
এটাও একটি দারুণ সফটওয়্যার এবং অনেকটা ফটুকশপের মত। এটি দিয়ে সাধারণ জিফ এনিমেশন তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন ছবিতে বিভিন্ন রকম ইফেক্টও দিতে পারবেন। GIMP এর ফুল ফর্ম ছিল General Image Manipulation Program কিন্তু যখন এটি GNU এর আওতাভুক্ত হয় তখন এর ফুল ফর্ম হয় GNU Image Manipulation Program।
স্ক্রিনশটঃ
ইচ্ছা হলে ডাউনলোড করতে পারেন। প্রায় ২১ মেগাবাইট।
ডাউনলোড লিঙ্ক
গিম্প টিউটোরিয়ালঃ
গিম্পের টিউটোরিয়াল পাবেনএখানে (বাংলা)
ইংরেজিতে টিউটোরিয়াল পাবেনএখানে
iii) Inkscape:
ইমেজ এডিটিং কিংবা ইমেজ তৈরী করার জন্য খুবই কাজের সফটওয়্যার। ভেক্টর গ্রাফিক্স কিংবা ভেক্টর আর্ট এবং অ্যাডোবি ইলাস্ট্রেটর এর বিকল্পে ব্যবহার করা যায়। এর সাধারণ টিউটোরিয়াল হেল্প এর মধ্যেই পাবেন যা আমি স্ক্রিনশটে দেখিয়ে দিয়েছি। উইকিপিডিয়ার বহু ভেক্টর ইমেজ এর দ্বারা তৈরী করা হয়েছে।স্ক্রিনশটঃ
এটি গিম্পের তুলনায় অনেক তাড়াতাড়ি ওপেন হয় কিন্তু এটা গিম্পের তুলনায় ওজনে একটু ভারী। পছন্দ হলে ডাউনলোড করতে পারেন।
৩৬ মেগাবাইট। এবং পোর্টেবল।
ডাউনলোড লিঙ্ক
5. ইমেজ দেখাঃ
ইমেজ তো তৈরী করলেন। কিন্তু দেখবেন কী দিয়ে? উইন্ডোজ ডিফল্ট ফটুক ভিউয়ার দিয়ে?! যেটাতে আবার সব ফরম্যাট সাপোর্ট করে না!!যেই সফটওয়্যার এড়াতে চাইঃ Windows Photo Viewer, ACDsee
কি কাজে ব্যবহার করা হত?:
ফটো দেখার জন্য।কি কারণে এড়াতে চাই?:
এটার পরিবর্তে কী ব্যবহার করা ভাল?:
i)Irfan view:
খুব সাধারণ ব্যবহার এর জন্য উইন্ডোজ ফটো ভিউয়ার চলে কিন্তু এটাতে তেমন কিছুই করা যায় না। সেক্ষেত্রে Irfan view বেস্ট অপশন। সফটওয়্যারটি খুবই হালকা এবং অনেক তাড়াতাড়ি ওপেন হয় আর সব ইমেজ ফরম্যাটই সাপোর্ট করে। অভ্র দিয়ে বাংলা লেখা যায় না কিন্তু অভ্র থেকে ANSI encoding সিলেক্ট করে ও যেকোন একটি বিজয় ফন্ট সিলেক্ট করলেই চমৎকার বাংলা লেখা যায়। কিছু কিছু ফটো এডিটিং ও করা যায়।ইন্সটলেশন প্রসেসঃ
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড লিঙ্ক
ii)XnView:
ইমেজ দেখার জন্য এটাও খুবই ভাল একটি সফটওয়্যার। প্রায় ৪০০ ধরণের ইমেজ ফরম্যাট সাপোর্ট করে। কিছু অডিও এবং ভিডিও ফাইলও ওপেন করতে সক্ষম।স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করতে পারেন, মাত্র ৭ মেগাবাইট।
ডাউনলোড লিঙ্ক
বোনাসঃ
অনেক সময় আমাদের ইমেজ রিসাইজ করার প্রয়োজন হয়; তারজন্যও আছে ফ্রি সফটওয়্যার। এটি উইন্ডোজ ৭ এবং ভিস্তায় ব্যবহার করতে পারবেন।এখানে যান , I accept বাটনে ক্লিক করুন; ডাউনলোড শুরু হয়ে যাবে।
রিসাইজ করবেন যেভাবেঃ
যারা Windows XP ব্যবহার করেনঃ
যারা উইন্ডোজ এক্সপি ব্যবহার করেন তারা রিসাইজ করার সফটওয়্যার পাবেন এখানে6. লেখালেখিঃ
যে সফটওয়্যার এড়াতে চাইঃ Microsoft Word
কি কাজে ব্যবহার করা হত?:
লেখালেখি, কম্পুটার কম্পোজ, ওয়ার্ড প্রসেসিং এর কাজে।কেন এড়াতে চাই?:
বাংলার মধ্যে ম্যাথমেটিক্যাল ইকুয়েশন লিখতে বিরাট ঝামেলা, কম স্পিডওয়ালা পিসি এর জন্য যন্ত্রণাদায়ক স্লো, Mathtype সফটওয়্যার থেকে ম্যাথমেটিক্যাল ইকুয়েশন ইম্পোর্ট করতে অনেক জবাবদিহি করতে হয়, পর পর দুই দুইলাইন এর নির্দিষ্ট বর্ণ একই কলাম বরাবর সোজা রাখা অসম্ভব, দামী, বাইরে দিয়া ফিটফাট ভিত্রে দিয়া ......, আরও হাজার হাজার অভিযোগ।এটার বিকল্প কী?:
মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর বিকল্প হিসেবে অনেক কিছুই আছে। সাধারণ ডকুমেন্ট তৈরী করতে গুগল ডকস এর উপ্রে আমার মতে কিছু নাই। ওপেন অফিসের রাইটার এমএস ওয়ার্ডের একটি চমৎকার বিকল্প হতে পারে। এছাড়াও আছে লিব্রে অফিস। তবে খুব সাধারণ ওয়ার্ড প্রসেসিং এর জন্য আমার প্রথম পছন্দ ওপেন অফিসের রাইটার। একনজরে এগুলো দেখে নিন।i) Google Docs:
একে ফ্রিওয়্যার না বলে ইন্টারনেট ওয়্যার বলাই ভাল। যাদের ইন্টারনেট কানেকশন লিমিটেড তাঁদের এটা ব্যবহার করা উচিৎ হবে না। তাহলে আমি এটা নিয়ে আলোচনা করছি কেন? কারণ হল, আপনি এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারেন যখন ইন্টারনেট কানেকশন ঠিকই আছে কিন্তু ওয়ার্ড প্রসেসিং করার কোন সফটওয়্যার নেই। তখন আপনি গুগল ডক্স ব্যবহার করতে পারবেন।গুগল ডক্সের সাধারণ ইন্টারফেস ছাড়াও অনেক রকম সুবিধাও আছে। এটি দিয়ে আপনার ডকুমেন্টটি প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ফরম্যাট যেমন .doc, .odt , .txt , .pdf ব্যতীত আরও ২-৩ ধরণের ফরম্যাটে ডাউনলোড অথবা সেভ করে রাখতে পারেন।
গুগল ডক ব্যবহার করতে জিমেইল অ্যাকাউন্ট লাগে। প্রথমে এখানে যান এবং ছবি অনুযায়ী কাজগুলো সম্পন্ন করুন।
এটি দিয়ে অভ্রের মাধ্যমে বাংলাও লেখা যায় চমৎকারঃ
Mathtype সফটওয়্যার থেকে সহজেই ইক্যুয়েশন ইম্পোর্ট করতে পারবেন গুগল ডকে।
অন্যান্য সুযোগ সুবিধাতো থাকছেই।
ii) Open office (Writer) :
ওয়ার্ড প্রসেসিং এর জন্য খুবই চমৎকার একটি সফটওয়্যার। এটি দিয়ে মাইক্রোসফট ওয়ার্ড এর ফাইলও ওপেন করা যায়। সেটা .doc হোক কিংবা .docx । একনজর দেখে নিনঃ
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করুন এখান থেকে। 92 MB
iii)Libre Office:
ওপেন অফিসের মতই, এবং অবশ্যই ফ্রি। আসলে লিব্রে অফিস এর মূল ভিত্তিই হল সান এবং ওপেন অফিস।
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করুন এখান থেকে। 120 MB
ওয়ার্ড প্রসেসিং এর ব্যবস্থা তো হল, নোটপ্যাডের লেখালেখির কী অবস্থা হবে?যেই সফটওয়্যার এড়িয়ে যেতে চাইঃ Notepad
কেন এড়াতে চাই?:
পুরান জিনিস। ফিচারের বড়ই অভাব।এর বিকল্প কী আছে?:
কী আছে নোটপ্যাড ২ এবং ডাবল প্লাসে?
i) Notepad ++:
নোটপ্যাডের সাধারণ সব ফিচারের পাশাপাশি
- ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ
- একাধিক ক্লিপবোর্ড
- স্প্লিট স্ক্রিন
- স্পেল চেকার
- বিভিন্ন টেক্সট এনকোডিং ফরম্যাট যেমন ইউনিকোড, আনসি ইত্যাদি সাপোর্ট করে।
- একাধিক ডকুমেন্ট এর জন্য শব্দ ফাইন্ড অ্যান্ড রিপ্লেস করা যায়।
- আরও অনেক কিছু।
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন
ii) Notepad2:
এটা মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এর জন্য একটা ওপেন সোর্স টেক্সট এডিটর। সাইজে ছোট, দ্রুত এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য।
একনজরে ফিচারগুলো দেখা যাকঃ
- এটার মধ্যে বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জন্য সিনট্যাক্স হাইলাইটার আছে, ল্যাঙ্গুয়েজগুলো হলঃ ASP, Assembly, C, C++, C#, CGI, CSS, HTML, Java, NSIS, Pascal, Perl, PHP, Python, SQL, Visual Basic (VB), VB Script, XHTML এবং XML । এছাড়াও বিভিন্ন ফাইল ফরম্যাট যেমনঃ BAT, DIFF, INF, REG এর জন্যও সিন্ট্যাক্স হাইলাইটিং এর দ্বারা সম্ভব।
- অটো ইন্ডেন্টেশন
- কিছু টেক্সট এনকোডিং যেমনঃ ASCII, UTF-8 এবং UTF-16 এর মধ্যে পারস্পারিক কনভার্সন করতে সক্ষম।
- ফাইন্ড অ্যান্ড রিপ্লেস তো আছেই।
- DOS, Unix এবং Macintosh ফরম্যাটের পারস্পারিক Newline কনভার্সন করা যায়।
স্ক্রিনশটঃ
এখান থেকে ডাউনলোড করুন
7. সিডি/ডিভিডি বার্নিং বা সিডি/ডিভিডি রাইটিং:

লেখালেখির পালা আপাতত শেষ। আপনার কম্পুটারের হাড্ডিতে নিশ্চয়ই অনেক কিছু জমা পড়ে আছে, আর সেকারণে নতুন কিছু ডাউনলোড করে হাড্ডিতে রাখতে পারছেন না!। অসুবিধা কী? ১৫ টাকায় ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডি কিনে প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো রাইট করে ফেলুন। ও, নিরো বুঝি বেশি জ্বালাচ্ছে? আর উইন্ডোজ এর ডিফল্ট রাইটার দিয়ে সুবিধা করতে পারছেন না?! সমস্যা নেই। দেখুন এই ফ্রি সফট ডিভিডি ডাটা ডিস্ক তৈরী করার সকল সমস্যার সমাধান দেবে। বিশ্বাস হচ্ছে না?
যেই সফটওয়্যার এড়াতে চাই: Nero, Windows default disk burner, Roxio Creator
কী কারণে এড়াতে চাই?:
ডিভিডি বা সিডি বার্ন করতে গিয়ে বেশি ভংছং করে। এক একটার ওজন আবার মেগাবাইটে হয় না, গিগা লাগেসমস্যার সমাধান আছে কী?:
অবশ্যই আছে! বার্ন অ্যাওয়্যার ইউজ করুন। খুবই আরাম পাবেন। চাকচিক্য এবং মেদবর্জিত। ডেটা সিডি, ডিভিডি বার্ন করতে ঠিক যতটুকু দরকার ততটুকুই পাবেন এখানে। আগে নিরো ব্যবহার করে থাকলে এটা ব্যবহার করতে খুউউব সহজ লাগবে। আর ভিডিও সিডি বা ডিভিডি তৈরী করার জন্য আছে DVD Flick যার সাহায্যে ডিভিডি তৈরী করে ঘরের ডিভিডি প্লেয়ারে অনায়াসে চালাতে পারবেন।i) BurnAware Free:
কীভাবে ডেটা ডিভিডি বার্ন করবেন সেটা একটু দেখিয়ে দিলাম।
যেভাবে ডেটা ডিভিডি বার্ন করবেনঃ
- বার্ন অ্যাওয়্যার এর উপরে দেখুন Data DVD নামের বাটন আছে। সেখানে ক্লিক করলে নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবেঃ
- যেসব ফাইল ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডিতে বার্ন করবেন সেই ফাইলগুলো ড্র্যাগ অ্যান্ড ড্রপ পদ্ধতি কিংবা ছবিতে দেখানো বাটনটিতে ক্লিক করে অ্যাড করতে পারেন।
- এরপর বার্ন (লাল) বাটনটিতে ক্লিক করলেই বার্নিং শুরু হয়ে যাবে।
টিউটোরিয়ালঃ
অন্যান্য টিউটোরিয়াল পাবেন এখানে
খুবই ছোট, মাত্র 4.3MB।
[ দ্রষ্টব্যঃ বার্ন অ্যাওয়্যার ফ্রি এর নিচেই ডাউনলোড NOW বাটন আছে। সেখানেই ক্লিক করুন। আবার প্রোফেশনাল কিংবা হোম ডাউনলোড করবেন না, কেননা প্রোফেশনাল আর হোম ডাউনলোড এর পরে টাকা চাইলে আমি দিতে পারব নাডাউনলোড করুন এখান থেকে,
কিন্তু এখনো বুঝি চিন্তা?! দোকানের মত ডিভিডি ভিডু (ভিডিও) বার্ন করবেন কীভাবে? চিন্তা নাই। আছে DVD flick । এর সাহায্যে আপনি ঘরে (কম্পুটারে) বসেই বানাতে পারবেন বিভিন্ন মুভি দিয়ে দোকানের ঐ ডিভিডি গুলোর মত। যা আপনার ঘরের ডিভিডি প্লেয়ারেও চলবে। কম্পুটারে তো কথাই নাই।
ii) DVD flick:
আপনারা মুভির ডিভিডি কিনে নিশ্চয়ই প্রথমদিকে কোন না কোন সময় অবাক হয়েছেন, দুকানদারেরা এধরণের ডিভিডি তৈরী করেন কীভাবে? জবাব পাবেন এখানেই এবং ফুল টিউটোরিয়ালসহ। এটাও আশ্চর্যের বিষয় যে এই অসাধারণ সফটওয়্যারটিও ফ্রি। দেরি কেন? ঝটাপট ডাউনলোড করুন আর সামুর পুশকিন ভাইয়ের টিউটোরিয়াল দেখে বানিয়ে নিন আপনার মুভি ডিভিডি এবং পরিবারের সাথে কাটান চমৎকার সময়!স্ক্রিনশটঃ
এটাও সাইজে ছোট। মাত্র ১৩ মেগাবাইট।
ডাউনলোড লিঙ্ক
টিউটোরিয়ালঃ
এবার হাড্ডি খালি করতে অসুবিধা নেই নিশ্চয়ই?বাংলায় সচিত্র টিউটোরিয়াল দেখতে কার্সর দিয়ে এখানে গুতা মারেন
8. কম্প্রেসনঃ
ব্ল্যাঙ্ক ডিভিডি শেষ? ফাইলের সাইজ কমাতে চান? তাহলে এবার আসুন জিপ আর রার নিয়ে কিছু করা যায় কিনা?!যেই সফটওয়্যার এড়াতে চাই?: উইনজিপ এবং উইনরার
কেন এড়াতে চাই?:
এখনকার উইন্ডোজ প্ল্যাটফর্মে বিল্ট ইন জিপ আনপ্যাক করার ব্যবস্থা আছে তাই উইনজিপ এখন অচল। আর উইনজিপ এর কম্প্রেসন অতটা ভাল না। উইনরারে কাজ চলে তবুও এর চেয়ে ভাল জিনিস ফ্রিতে পাওয়া গেলে ক্ষতি কি?এর বদলে কী ইউজ করব?:
7zip:
7zip আছে না?! অনেক ধরণের কম্প্রেসড ফাইল আনপ্যাক করতে এর তুলনা নেই। এর কম্প্রেসন উইনরার থেকেও ভাল ।
এটি যত ধরণের ফাইল আনপ্যাক করতে পারে তার লিস্টঃ
APM, ARJ, CAB, RAR, MSLZ, EXE, SWF, FLV, SquashFS, CramFS, NTFS, FAT, VHD, MBR, Z, LHA, cpio, smzip, JAR, ISO CD/DVD images (7-Zip version 4.42 এবং এর উপরে ), DMG, HFS, RPM, onepkg and Debian DEB আর্কাইভ।স্ক্রিনশটঃ
সাইজে অনেক কম, মাত্র ১ মেগাবাইট ;
ডাউনলোড লিঙ্ক
9.পিসি অপটিমাইজেশনঃ
A) ডিফ্রাগমেন্ট করা (De-fragmentation):
এবার ডিফ্রাগমেন্টের কী হবে? উইন্ডোজ এর সাধারণ ডিফ্রাগমেন্ট অ্যাপটা অনেক স্লো।এটা আপনারাও জানেন যে কোন অপশনটা বেস্ট।
IObit Smart Defrag:
খুবই ফাস্ট এবং চমৎকার ইন্টারফেসযুক্ত এই সফটওয়্যারটি সবার কাছেই সমাদৃত। এটি ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্টের কাজে বহুলভাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগেই নতুন ভার্সন বের হয়েছে। থাকলে ভাল, না থাকলে নিয়ে নিন , প্রায় চার মেগাবাইট।
ডাউনলোড লিঙ্ক
স্ক্রিনশটঃ
B) রেজিস্ট্রি পরিষ্কার রাখা (Registry Cleaning):
রেজিস্ট্রির অবস্থা খারাপ? চিন্তা নেই তার জন্যও ব্যবস্থা আছেঃLittle Registry Cleaner:
নামে লিটল হলে কী হবে? এটা লিটল মাস্টারএবার দেখুন স্ক্রিনশটঃ
সাইজে ছোট, মাত্র 3.46MB
ফ্রি(!) সফটওয়্যার ডাউনলোড সাইট যেমন ডাউনলোড, ব্রাদারসফট, সফটপিডিয়া, সফটনিক একে ৫ তারা দিয়েছে... আপনি ব্যবহার করে দেখুন; একে আপনি কত তারা(স্টার) দেবেন?ডাউনলোড লিঙ্ক
C) হারানো ফাইল উদ্ধার করা (File Recovery):
আপনার ছোট ভাই/বোন দুষ্টুমি করতে গিয়ে প্রয়োজনীয় ফাইল মুছে দিয়েছে?!থাক আর রাগ করবেন না। ঝটপট নামিয়ে নিন এই ফ্রি ফাইল রিকভার করার সফটওয়্যার Recuva । এটি আসলেই অনেক কাজের জিনিস।
Recuva:
একনজরে রিকিউভার ফিচারসমূহঃ
- সহজ সরল ইন্টারফেস। শুধু স্ক্যান দিয়ে যেসব ফাইল উদ্ধার করতে চান অগুলোতে টিক দিয়ে ওকে দিলেই হবে।
- ফাইল উদ্ধারের জন্য উইজার্ড রয়েছে
- খুবই হালকা, তাড়াতাড়ি ওপেন হয় এবং ফাইল উদ্ধার করেও অনেক তাড়াতাড়ি
- চর্বিযুক্ত (FATX, X=12,16,32) ফাইল সিস্টেম এবং NTFS ফাইল সিস্টেম সমর্থন করে।
- মেমরিকার্ড, ফ্লপি ডিস্ক, মেমরি স্টিক, পেন ড্রাইভ(ফ্ল্যাশ ড্রাইভ), ইস্মার্ট মিডিয়া কার্ড, সিকিউরড ডিজিটাল কার্ড, পোর্টেবল/এক্সটার্নাল হাড্ডি, ইন্টার্নাল হাড্ডি সাপোর্ট করে।
- সেকেন্ডের মধ্যে কাজ শুরু করে দেয়।
স্ক্রিনশটঃ
ডাউনলোড করতে পারেন, মাত্র 2.45MB
ডাউনলোড লিঙ্ক
D) অপ্রয়োজনীয় ফাইলপত্র মোছা (Cleaning unnecessary Files):
আপনার কঠিন চাকতি(হার্ড ডিস্ক) টেম্পোরারি আর হাবিজাবি ফাইল-পত্রে ভর্তি? এবার এগুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করুন CCleaner, অথবা Glary Utilities দিয়ে। এগুলোর ব্যপারে আপনারা সবাই জানেন; তাই বিস্তারিত কিছু লিখলাম না। শুধু ডাউনলোড করে নিনi)Ccleaner:

মাত্র, 3.4MB
ডাউনলোড লিঙ্ক
ii)Glary Utilities:
পোর্টেবল, 6MB
ডাউনলোড লিঙ্ক
E) অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার কম্পুটার থেকে সম্পূর্ণভাবে দূর করাঃ (Un-installation)
শুধু হাবিজাবি নথিপত্র মুছে দিলে হবে? অনেক আজেবাজে সফটওয়্যারও নিশ্চয়ই বিজ্ঞাপনের প্রলোভনে পড়ে ডাউনলোড করে ইন্সটল করেছিলেন!! সেগুলোকে বিদেয় করতে হবে না? তারজন্যও আছে সফটওয়্যার;IObit Uninstaller:
এই আনইন্সটলার টা দারুন! রেভো আনইন্সটলার হয়ত সবার প্রথম পছন্দ, তবে এটাও কম যায় না। রেজিস্ট্রি কি সহ আপনার ইন্সটলকৃত আউল ফাউল সফটওয়্যার এর যাবতীয় চিহ্ন মুছে দিতে সক্ষম। এটির বিটা ভার্সন IObit AdvancedSystem Care 4 এর সাথে দেওয়া আছে; 5 এর কথা জানিনা। তবে আলাদাভাবেও ডাউনলোড করে নিতে পারেন। চমৎকার ইন্টারফেস তো বটেই (IObit এর সফটওয়্যার এর ইন্টারফেস বা থিমগুলান ভালা পাইস্ক্রিনশটঃ
খুবি ছোট, মাত্র 1.5MB
ডাউনলোড করুন এখান থেকে
ফ্রি সফটওয়্যার নিয়ে অন্যান্য টিউনের লিঙ্কঃ
সহজে জিফ অ্যানিমেশন তৈরীঃ
সহজে কিভাবে জিফ অ্যানিমেশন তৈরী করবেন, তাও আবার ফ্রি সফটওয়্যার দিয়ে তা জানতে আমাদের প্রিয় উন্মাদ তন্ময় ভাইয়ের এই চমৎকার এবং বিস্তারিত টিউনগুলি দেখতে পারেনঃ
ফ্রি সফটওয়্যার নিয়ে প্রতিবেদনঃ
ফ্রি সফটওয়্যার নিয়ে শাওন ভাইয়ের এই অসাধারণ প্রতিবেদন দেখতে ভুলবেন না। এখানে কিছু ফ্রি-ওয়্যার এর লিস্টও পাবেন শেষের দিকে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে ফ্রি সফটওয়্যারঃ
নিশাচর নাইম ভাইয়ের এই টিউনেও গ্রাফিক্স ডিজাইনের উপর ওপেনসোর্স সফটওয়্যার পাবেন।আরও অসংখ্য টিউন হয়ত আছে টেকটিউন্সে তবে এই মুহূর্তে আমার পক্ষে সবগুলোর লিঙ্ক দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। রিসেন্টলি যেই টিউন হয়েছে সেগুলোর লিঙ্কই দিলাম।
ফ্রি সফটওয়্যার নিয়ে কিছু কথাঃ
তাহলেই ফ্রি-ওয়্যার ডেভেলপাররা আরও সুন্দর সুন্দর ফ্রি-ওয়্যার আমাদের সাথে শেয়ার করবেন!
- ফ্রি-ওয়্যার শেয়ার করুন সবার সাথে।
- যেখান থেকে ডাউনলোড করলেন, যদি ভাল লাগে তাহলে কষ্ট করে রিকমেন্ডেশন করে আসুন।
- যদি সম্ভব হয় মেইলের মাধ্যমে ফিডব্যাক দিন।
- আর কিছু না পারুন, লাইক দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলে নিদেনপক্ষে একটা লাইক দিন।
- ক্র্যাক ও কিজেন একবারেই ত্যাগ করতে বলেছি তা না, আপনি সবকিছুর সাথে সাথে ফ্রি-ওয়্যার ব্যবহার করতে থাকুন তাহলেই দেখবেন এর প্রতি আপনার আলাদা ভালবাসা জন্মাবে। তখন আপনার এম্নিতেই লিনাক্সে মাইগ্রেট করতে ইচ্ছা হবে।